০৬ এপ্রিল ২০২০ সোমবার, ০২:০৭ পিএম
সময় নারায়ণগঞ্জ
লকডাউনের সময় ভারতে বাজার করতে বেরিয়ে পুলিশের পিটুনিতে এক আদিবাসী বৃদ্ধ মারা গেছেন।
মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার গুজরি গ্রামে রোববার সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে দরকারি জিনিসপত্র কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন পঁয়ষট্টি বছর বয়সী টিবু মেদা। লকডাউন না মানার অপরাধে তাকে পিটিয়ে মেরেছে পুলিশ।
লকডাউনের জেরে ঘরে খাবার বাড়ন্ত। তাই, জামাইকে সঙ্গে নিয়ে দরকারি জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন বছর পঁয়ষট্টির টিবু মেদা। লকডাউন
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, টিবুর জামাই সঞ্জয় জানিয়েছেন, ‘আমরা দরকারি জিনিস কিনব বলে একটা দোকানের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকাই পুলিশ এসে, কোনো কিছু না বলে লাঠি চালাতে শুরু করে।’
সঞ্জয়ের দাবি, তার কোমরে চোট লাগলেও তিনি দৌড়ে পালান, টিবু পারেননি। পুলিশের বেদম পিটুনিতে মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় ধরমপুরির বিধায়ক পঞ্চিলাল মেদা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আদিবাসী বৃদ্ধের দেহে লাঠিপেটার দাগ ছিল। এতেই স্পষ্ট পুলিশ তাকে পিটিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে ধর জেলার পুলিশ সুপার আদিত্য প্রতাপ সিংয়ের দাবি, রোববার সকালে পুলিশের একটি দল গ্রামের বাজারে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তাদের পিটুনিতে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়নি।
পুলিশ সুপারের ভাষ্য, লোকজন সামাজিক দূরত্বের বিধি মানছে কি না দেখতে এ দিন সকালে পুলিশের একটি দল বাজারে গিয়েছিল। পুলিশের গাড়ি দেখে বাজারে আসা লোকজন দৌড়াতে শুরু করে। তখনই পুলিশ খবর পায় একজন বৃদ্ধ অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। পুলিশই তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
সময় নারায়নগঞ্জ.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।